এবার ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) টি২০ আসরে সীমিত পরিমাণে ক্রিকেটার নেওয়ার জন্য মিনি নিলাম অনুষ্ঠিত হয়েছে আরব আমিরাতের দুবাইয়ে। নিলামের একেবারে শেষ সেটে মুস্তাফিজকে তার ভিত্তিমূল্য ২ কোটি রুপিতে চেন্নাই ডাকে এবং অন্য কেউ আগ্রহ না দেখানোয় বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় এই আসরে আসন্ন মৌসুমে নতুন দলের জার্সিতে খেলবেন বাংলাদেশের বাঁহাতি এই পেসার। তবে আইপিএল চলার সম্ভাব্য সময়ে বাংলাদেশ দলের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ব্যস্ততা থাকায় পুরো আসরে থাকতে পারবেন না মুস্তাফিজ। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) থেকে এ বাঁহাতি পেসারকে ২২ মার্চ থেকে ১১ মে পর্যন্ত আইপিএল খেলার অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু নিলামে নাম থাকা অপর দুই পেসার তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলামকে সেই অনুমোদন দেওয়া হয়নি।
তাই তারা আগেই নিলাম থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেন। সে কারণে আসন্ন আইপিএল আসরে একমাত্র বাংলাদেশী হিসেবে খেলবেন মুস্তাফিজ। আগামী ফেব্রুয়ারি-মার্চে বাংলাদেশ সফরে এসে শ্রীলঙ্কা দল খেলবে ওয়ানডে, টেস্ট ও টি২০ ম্যাচের পূর্ণাঙ্গ সিরিজ। এরপর এপ্রিলে আবার রয়েছে জিম্বাবুুয়ের বিপক্ষে সিরিজ। তাই বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের আইপিএল খেলার সম্ভাবনা একেবারেই নেই। সেজন্য সাকিব আল হাসান এবার নাম দেননি, লিটন কুমার দাসও তাই। একই কারণে তাসকিন-শরিফুল নাম প্রত্যাহার করে নেন। তবে মুস্তাফিজ যেহেতু টেস্ট খেলেন না, তাই কিছু সময়ের জন্য তার আইপিএল খেলার সুযোগ রয়েছে। সেই অনুমতিও পেয়েছেন তিনি আগামী বছর ২২ মার্চ থেকে ১১ মে পর্যন্ত।
গতবার দিল্লি ক্যাপিটালসে ছিলেন এ বাঁহাতি পেসার। এবার তাকে নিলামের জন্য ছেড়ে দেয় দলটি। মঙ্গলবার দুবাইয়ে হওয়া মিনি নিলামের শেষ পর্যায়ে ভিত্তিমূল্য ২ কোটি রুপিতেই তাকে পেয়েছে চেন্নাই। ২০২২ সালে তাকে নিলামে কেনার পর ২০২৩ আসরেও ধরে রাখে দিল্লি। এবার ছেড়ে দেয়। আইপিএলে এরই মধ্যে কয়েকটি দলে খেলার অভিজ্ঞতা হয়ে গেছে মুস্তাফিজের। ২০১৬ সালে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ থেকে শুরু। হায়দরাবাদে দুই মৌসুম কাটানোর পর ২০১৮ সালে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সে যোগ দেন তিনি। এরপর ২০২১ মৌসুমে খেলেন রাজস্থান রয়্যালসে।