শুধু ম্যানেজিং কমিটি নয়, উপজেলা শিক্ষা অফিসারকেও পাশ কাটিয়ে আকস্মিকভাবে ১ দিনের সংরক্ষিত ছুটি ঘোষনা করা হয়েছে গাইবান্ধার পিয়ারাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে। এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে এলাকার সচেতন মহলে।
জানা গেছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক ছুটির তালিকায় প্রধান শিক্ষক ও অধ্যক্ষের হাতে ৩ দিন সংরক্ষিত ছুটি দেয়ার ক্ষমতা রয়েছে। সে অনুযায়ী উচ্চ বিদ্যালয়, মাদরাসা ও কলেজের প্রধানগণ প্রয়োজন অনুযায়ী তাদের ক্ষমতাবলে সংরক্ষিত ছুটি দিয়ে থাকেন। এ ক্ষমতা বলে শক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক সরকারি ছুটির সাথে বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) আকস্মিকভাবে ১দিনের সংরক্ষিত ছুটি ঘোষনা করে প্রতিষ্ঠানকে ৩ দিনের ছুটিতে ফেলেন গাইবান্ধা সদর উপজেলার পিয়ারাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রোস্তম আলী মন্ডল।
স্থানীয়দের এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকাল আনুমানিক সাড়ে ১১টায় সরেজমিনে যাওয়া হলে বিদ্যালয়টি বন্ধ পাওয়ায় যায়।
বিষয়টি নিয়ে বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য সফিউল আলম মন্টু এর সাথে কথা হলে জানান, এ ছুটির বিষয়ে প্রধান শিক্ষক কোন নোটিশ না দেয়ায় আমি কিছুই জানি না।
অভিভাবক সদস্য জামিল মিয়া জানান, প্রধান শিক্ষক রোস্তম আলী মন্ডল কমিটির মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করে নিজের মন গড়াভাবে বিদ্যালয়ের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। সংরক্ষিত ছুটির বিষয়ে আমিও কিছুই জানি না। আজ হঠাৎ দেখি প্রতিষ্ঠানে ছাত্র/ছাত্রী নেই, অফিসও বন্ধ। বন্ধের বিষয়ে নোটিশ বোডেও কোন নোটিশ নেই।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক রোস্তম আলী মন্ডল এর সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে জানান, যেহেতু শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক সরকারি ছুটি একারণে এ ২ দিনের ছুটির সাথে বৃহস্পতিবার আমার ক্ষমতাবলে ১ দিনের সংরক্ষিত ছুটি ঘোষনা করেছি। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মৃদুল মোস্তাফিজুর রহমান ঝন্টু জানান, সংরক্ষিত ছুটির বিষয়ে আমাকে কিছু জানানো হয়নি।
প্রধান শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করে বিষয়টি দেখতেছি। এলাকার সচেতন মহলের বক্তব্য, শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সফর, বনভোজন এমন ধরনের বিশেষ দিনগুলোতে সংরক্ষিত ছুটি ভোগ করা সমুচিন। এমন বিশেষ দিন ছাড়া হঠাৎ করে সাপ্তাহিক সরকারি ছুটির সাথে সংরক্ষিত ছুটি ভোগ করা হলে এর প্রভাব পড়বে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে। যা কখনো কাম্য নয়। তাদের ধারনা, সংরক্ষিত ছুটি ভোগ করতে হলে ছুটির কারণ উল্লেখসহ নোটিশে ঘোষনা পূর্বক প্রতিষ্ঠানের স্ব-স্ব শ্রেণি শিক্ষকের স্বাক্ষর গ্রহণসহ অফিসের নোটিশ বোডে নোটিশ টাঙ্গানোর কথা। সেই সাথে ছুটির বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে অবগত করার কথা। এমন নিয়ম থাকলে প্রধান শিক্ষক রোস্তম আলী মন্ডল এ দায়িত্ব পালন করছেন কি না ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের উচিৎ তা খতিয়ে দেখা।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এস.এম সাঈদ হাসান মুঠো ফোনে জানান, আমি আজ ছুটিতে আছি। সংরক্ষিত ছুটির বিষয়ে আমাকে অবগত করা হয়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।