মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই ২০২৪, ১০:২৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম
শিরোনাম
গাইবান্ধায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ গাইবান্ধায় ট্রাকের চাপায় মোটর সাইকেল আরোহী ৩ জন নিহত গাইবান্ধার পিয়ারাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে এক দিনের সংরক্ষিত ছুটি, এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া গাইবান্ধায় বাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে যুবকের মৃত্যু গাইবান্ধার ফুলছড়িতে বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু লক্ষ্মীপুরে মামলার প্রধান ২ আসামী গ্রেফতার না হওয়ায় নিরাপত্তা নিয়ে বাদীর উৎকন্ঠা গাইবান্ধায় বাঁধের ২৯টি জায়গায় ধস : সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেই গাইবান্ধায় নিখোঁজের দুই দিন পর দুইজনের মরদেহ উদ্ধার গাইবান্ধায় যায়যায়দিনের বর্ষপূর্তি উদযাপন গাইবান্ধার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের বেহাল দশা
নোটিশ :

জেলা/উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ : সাপ্তাহিক গাইবান্ধার বুকে পত্রিকার জন্য গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন উপজেলাসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থান/এলাকায় প্রনিতিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও পাসপোর্ট সাইজের এক কপি ছবিসহ সরাসরি অথবা ডাকযোগে সম্পাদক বরাবর আবেদন করুন। প্রকাশক ও সম্পাদক, সাপ্তাহিক গাইবান্ধার বুকে , গোডাউন রোড, কাঠপট্টী, গাইবান্ধা। ফোন: : ০১৭১৫-৪৬৪৭৪৪, ০১৭১৩-৫৪৮৮৯৮

গাইবান্ধার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের বেহাল দশা

স্টাফ রিপোর্টার / ৩১ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ৬ জুন, ২০২৪, ২:৫৭ অপরাহ্ন

গাইবান্ধার ফুলছড়ির কঞ্চিপাড়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের ভবনগুলোর বেহাল দশা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে কার্যক্রম। ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা। মেরামতের দাবি কেন্দ্র সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।

জানা যায়, জেলায় ৫৬টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র রয়েছে। এরমধ্যে মান উন্নীত করা হয়েছে ২৫টি ও উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রুপান্তর করা হয়েছে ১৩টি। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত কেন্দ্রগুলো খোলা থাকার নিয়ম হলেও সকাল সাড়ে নয়টার পর এসে দুপুর একটা থেকে দেড়টার মধ্যেই বন্ধ করা হয়। সরকার ২৪ ঘণ্টা রোগীদের সার্বক্ষণিক সেবা দিতে আবাসিক ও অনাবাসিক ভবন তৈরি করে দিলেও দীর্ঘদিন থেকে মেরামতের অভাবে ভবনগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের এমন চিত্র। ভবনগুলোর ছাদ ও দেয়ালে ফাঁটল৷ ধরে প্লাস্টার ধ্বসে পড়ছে। দরজা-জানালাগুলো ভেঙে যাচ্ছে। যে কোন সময় মারাত্নক দূর্ঘটনার আশংকা থাকলেও এরই মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে সেবা কার্যক্রম। মেরামতের অভাবে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে আবাসিক ভবন।ময়লা-আবর্জনায় ভর্তি হয়ে আছে মেঝে। নেই কোনো সীমানা প্রাচীরও। ফলে বিভিন্ন মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি হয়ে যাচ্ছে। ভেতরে ঢুকেই বোঝা গেল এখানে মাদকসেবীদের আড্ডা বসে। তারা সিগারেটের প্যাকেটসহ বিভিন্ন কিছু ফেলে রেখে গেছেন। আর জন্ম নিয়েছে বিভিন্ন ধরনের আগাছা।

এ কেন্দ্রে কর্মরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মী জানান, এখানে ডাক্তারদের থাকার জন্য আবাসিক ব্যবস্থা থাকলেও মেরামত না করায় ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে আছে। অথচ নিয়মিত ভাড়া কর্তন করা হচ্ছে। এখনে সেবা নিতে আসা রোগীর সংখ্যাও কম নয়। উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার অবগত করার পরও মেরামত কাজে নেয়া হচ্ছে না উদ্যোগ। অথচ এ কেন্দ্রে অন্যান্য কেন্দ্রের তুলনায় সেবা নিতে আসা রোগীর সংখ্যাও অনেক বেশী।

কেন্দ্রের দায়িত্ব প্রাপ্ত উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার জহুরুল হক জানান, এ কেন্দ্রটি ১৯৮৩ সালে স্থাপিত হলেও তিনি ২০০০সাল থেকে এখানে চাকুরি করছেন। এ কেন্দ্রের ভবন গুলো মেরামতের অভাবে ফাঁটল ধরে প্লাস্টার ধ্বসে পড়ছে। চাকুরির স্বার্থে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেবা দেয়া হচ্ছে। ভবনের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার বলার পরও কোনো কাজ হচ্ছে না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর