গাইবান্ধার সাঘাটায় বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনের তোয়াক্কা না করে আলাই নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে বালি উত্তোলন করে জমজমাট ব্যবসা করে আসছে অসাধু বালু ব্যবসায়ী চঞ্চল নামের ব্যক্তি। এতে করে মারাত্নক ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে বরিং স্থানের আশেপাশের আবাদি জমিসহ পাকা রাস্তা।
জানা গেছে,বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যক্তি মালিকানাধীন কৃষি জমি থেকে বালু বা মাটি তোলা যাবে না। তবে ব্যক্তির নিজের প্রয়োজনে স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে সীমিত পরিসরে বালু বা মাটি তুলতে পারবেন এ বিধান রেখে জাতীয় সংসদে ‘বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা (সংশোধন) বিল–২০২৩’ পাস করা হয়েছে। এ আইনের তোয়াক্কা না করে সাঘাটা উপজেলার পদুমশহর ইউনিয়নের নয়া বন্দর বাজার হতে আধা কিলোমিটার উত্তরে পাকা রাস্তা ঘেষে আলাই নদী থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করছে বালু ব্যবসায়ী চঞ্চল নামের জনৈক ব্যক্তি। এ উত্তোলনকৃত বালু রাস্তার উপরে ১০/১২টি ট্রাক্টরে লোড দিয়ে এলাকার বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছে।
অপর দিকে, বরিং স্থান দেবে গিয়ে বিশাল আকারের গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় আশেপাশের আবাদি জমি ওই গর্তে ধ্বসে পড়ছে। সেই সাথে পাকা রাস্তাটিও মারাত্মক ঝুকির মুখে পড়েছে। রাস্তার উপর ট্রাক্টর লোড দেয়ায় যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে রোববার সরেজমিনে গিয়ে দেখা মেলে এমন ঘটনার চিত্র। এসময় ভুক্তভোগী লোকজন জানান, চঞ্চল একজন দাপটধারী ব্যক্তি। তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খোলার সাহস পায় না। কিছু বললেই পুলিশ প্রশাসনের ভয় দেখায়।
বালু ব্যবসায়ী চঞ্চলের সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে জানান, সব কিছু ম্যানেজ করে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। বিধায় নিউজ করেও লাভ হবে না।
সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি দ্রুত ব্যবস্থা নিবেন মর্মে আশ্বস্ত করেন।