গাইবান্ধার সাঘাটায় তোয়াক্কা করা হচ্ছে না প্রশাসনের অভিযান। বেপরোয়া হয়ে পড়েছে মাটি ব্যবসায়ীরা। কৃষি জমির মাটি কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ইট ভাটায়। ঝুকিতে রাস্তাসহ ব্রীজ। এ অনৈতিক কর্মকাণ্ড চালানো হচ্ছে উপজেলার হাপানিয়া চৌরাস্তার মোড় হতে বারোকোনা বাজার রাস্তা সংলগ্ন ছিলমানের পাড়া গ্রামে।
জানা গেছে, বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যক্তি মালিকানাধীন কৃষি জমি থেকে বালু বা মাটি তোলা যাবে না। তবে ব্যক্তির নিজের প্রয়োজনে স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে সীমিত পরিসরে বালু বা মাটি তুলতে পারবেন এ বিধান রেখে জাতীয় সংসদে ‘বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা (সংশোধন) বিল–২০২৩’ পাস করা হয়েছে।
বিলে বলা হয়েছে, কোনও ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি থেকে বালু বা মাটি তোলা যাবে না, যদি তা উর্বর কৃষি জমি হয় বা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়, কৃষি জমির উর্বর উপরিভাগের মাটি হলে যদি পরিবেশ-প্রতিবেশ বা জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি সাধিত হয়, ড্রেজারের মাধ্যমে বা যদি অন্য কোনো কৌশলী প্রক্রিয়ায় বালু বা মাটি উত্তোলন করা হয়, যাতে এই জমিসহ পার্শ্ববর্তী অন্য জমির ক্ষতি, চ্যুতি বা ধসের উদ্ভব হয়। এ আইনের তোয়াক্কা না করে উপজেলার হাপানিয়া চৌরাস্তার মোড় হতে বারোকোনা বাজার রাস্তা সংলগ্ন ছিলমানের পাড়া গ্রামে প্রকাশ্য দিবালোকে কৃষি জমির মাটি ড্রেজার মেশিনে কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে পার্শ্ববর্তী একটি ইট ভাটায়। এ ভাবে কৃষি জমি খনন করে গভীর গর্তের সৃষ্টি করায় ঝুঁকিতে পড়েছে রাস্তাসহ ব্রীজ। যা আসন্ন বর্ষা মৌসুমে রাস্তাসহ ব্রীজ ধ্বসে গিয়ে এলাকায় ফসলহানীসহ মানুষের জানমালের মারাত্নক ক্ষতি হতে পারে।
স্থানীয় লোকজনের এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে দেখা মেলে মাটি বানিজ্যের এমন কর্মকাণ্ড।
বিষয়টি নিয়ে ওই ভাটা মালিকের সাথে ফোনে কথা হলে নিজেকে রাজনৈতিক পরিচয় দিয়ে বলেন, আমার জমির মাটি আমি কাটছি। এখানে কারো করার কিছু নেই।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইসাহাক আলী জানান, আইনের উর্ধে কেউ নয়। দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।