গাইবান্ধার লক্ষ্মীপুরে কাজের মজুরী চাওয়াকে কেন্দ্র করে রাস্তায় আটক দিয়ে বেধরক মারপিট করে মোটরসাইকেল নেয়াসহ জোর পূর্বক স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়ার ঘটনায় থানায় মামলা। এ মামলা দায়েরের ২ সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও এলাকার ত্রাস সৃষ্টিকারী ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির প্রধান ২ আসামী গোলাম আযম ও জামাল গ্রেফতার না হওয়ায় আতঙ্কে চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটছে মর্মে মামলার বাদী ভুক্তভোগী সাইফুল মিয়ার অভিযোগ।
মামলা সুত্রে জানা গেছে, গাইবান্ধা সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত নজরুল ইসলামের পুত্র সাইফুল মিয়া পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। এ পেশা দিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। একই গ্রামের সুপারীরভিটার মৃত হাসান আলীর পুত্র গোলাম আযমের সাথে আনুমানিক ১ মাস পূর্বে বাড়ির কাজের হাজিরার টাকা নিয়ে বাক-বিতন্ডা হলে সাইফুল মিয়া কাজ করা বন্ধ করে দেন। এতে গোলাম আযম ক্ষিপ্ত হয়ে সাইফুল মিয়াকে বিভিন্ন সময়ে মারপিট ও হত্যার হুমকি দিয়ে আসত। এরই এক পর্যায়ে গত ১১-০৬-২০২৪ ইং তারিখে রাত আনুমানিক ১১টার সময় সাইফুল মিয়া লক্ষ্মীপুর বাজারে কাজ শেষে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফেরার পথে পথিমধ্যে রাজা মিয়া নামের জনৈক ব্যক্তির চায়ের দোকানের সামনে পৌঁছামাত্র এলাকার ত্রাস সৃষ্টিকারী সন্ত্রাস প্রকৃতির ব্যক্তিত্ব গোলাম আযম সংঘবদ্ধ দলবল নিয়ে পথ রোধ করে সাইফুল মিয়াকে আটক দেন। এরপর হত্যার উদ্দেশ্যে বেধরক মারপিট করে মোটরসাইকেলটিসহ গোলাম আযম নিজ বাড়িতে নিয়ে যান। এরপর ঘরের ভিতর আটক রেখে হাত পা বেঁধে আবারও বেধরক মারপিট করে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা করেন। এ সুযোগে তার কাছে থাকা নগদ ৩৭ হাজার টাকাসহ মোটরসাইকেলটি অন্যত্র সরিয়ে ফেলেন। এ ছাড়াও জোর পূর্বক ৩ খানা নন জুডিসিয়াল ফাঁকা স্টাম্পে স্বাক্ষর নেন। এমন পরিনতির খবর পেয়ে বাড়ি থেকে লোকজন এসে সাইফুল মিয়াকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা করান।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী সাইফুল মিয়া পরে সুস্থ হয়ে গত ১৫-০৬-২০২৪ইং তারিখে গোলাম আযমসহ ৪জন ও আরও অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনকে অাসামী করে গাইবান্ধা সদর থানায় একটি মামলা ( নং ১৮/২৪) দায়রের করেন।
মামলার ভুক্তভোগী বাদী সাইফুল মিয়ার অভিযোগ, এ মামলায় লিটন মিয়া (৩৮) নামের এক আসামী গ্রেফতার হলেও প্রধান ২ আসামী গোলাম আযম ও জামাল মিয়া এখন পর্যন্ত গ্রেফতার হয়নি। মামলা দায়েরের ফলে ক্ষিপ্ত এ ২ আসামী যে কোন সময় সুযোগ বুঝে আবারও মারপিটসহ খুন জখমের ঘটনা ঘটাতে পারে। শুধু তাই নয়, এ মামলায় আটক আসামী লিটন মিয়া জামিনে বেড়িয়ে এলে দেখে নিবে মর্মে এমন হুমকিও দিচ্ছে লিটনের পরিবার। ফলে প্রাণ বাঁচাতে স্বপরিবারে নির্বাসিত জীবন-যাপনের আতঙ্কে দিন কাটছেন।
এই আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার পূর্বক আইনের আওতায় আনতে গাইবান্ধা পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা মামলার ভুক্তভোগী বাদী সাইফুল মিয়াসহ তার পরিবারের।