গাইবান্ধার পলাশবাড়ীর খামার মামুদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে টেন্ডার ছাড়াই গোপনে ৯টি গাছ বিক্রি। প্রতিকারের দাবীতে শিক্ষার্থী অভিভাবকদের পক্ষ হতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের খামার মামুদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৭টি ইউক্যালিপটাস, ২টি মেহগনি, ২টি আম গাছ ও ১টি নারিকেল গাছসহ মোট ১২ টি গাছ গত ২৪-১২-২০২৩ ইং তারিখে নিলাম ডাকের মাধ্যমে বিক্রয় করা হয়। সেই সাথে নিলাম ডাকের পরবর্তী ১০ দিনের মধ্যে গাছ অপসারণের নির্দেশ দেয়া হয়। গাছগুলো অপসারণের সময় নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ম্যানেজিং কমিটির যোগসাজসে টেন্ডার ছাড়াই গোপনে অতিরিক্ত আরও ৯টি গাছ বিক্রি করে দেন। যার আনুমানিক মুল্য ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। প্রধান শিক্ষিকার এমন বেআইনী কর্মকান্ডের প্রতিকারের দাবীতে শিক্ষার্থী অভিভাবকদের পক্ষ হতে গত ২২-০১-২০২৪ইং তারিখে ২৬ জনের স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তরে দাখিল করা হয়।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের দু’পাশে প্রাচীর নির্মাণের কাজ চলছে। এ সুযোগে কর্তনকৃত গাছের অধিকাংশ গোড়া তুলে ফেলা হয়েছে। এ সময় কথা হলে প্রধান শিক্ষিকা এস.এম শামীমা সুলতানা ১২টি গাছ নিলাম ডাকের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়েছে মর্মে স্বীকার করলেও অতিরিক্ত ৯টি গাছ বিক্রির অভিযোগ এড়িয়ে যান।
অভিযোগকারীদের দাবি, কর্তৃপক্ষের উচিৎ ছিল অভিযোগ প্রাপ্তির পর তাৎক্ষনিকভাবে তদন্ত করা। তদন্ত বিলম্বের সুযোগে কৌশলগত ভাবে গাছের গোড়াগুলোর নামমাত্র কয়েকটি রেখে বাকিগুলোর গোড়া অপসারণ করে গর্ত মাটি দ্বারা ভরাট করে আলামত ধামাচাপা দেয়া হয়েছে। যাহা ওই ৯টি গাছ আত্নসাতের অপকৌশল।
সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার হুমায়ুন কবির জানান, আগামী রোববার/সোমবার নাগাদ অভিযোগের তদন্ত করা হবে।