পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন, আমাদের এ দেশ নদী মাতৃদেশ। দেশের উন্নয়ন করতে হলে নদী ভাঙন রোধ করতে হবে।আর নদী ভাঙ্গন রোধ হলে চরাঞ্চলকে উন্নয়নের রোলমডেল পরিনত করা সম্ভব। কেননা কৃষি ক্ষেত্রে উৎপাদন বাড়াতে হবে। কৃষি ক্ষেত্রে উৎপাদন বাড়াতে হলে নদী শাসন করতে হবে। কারণ যদি নদী ভাঙন হয়, তবে কৃষি জমি কমে আসবে,ফলে উৎপাদন কমে যাবে। নদীর পাশে যে সমস্ত গ্রাম ও শহর আছে, সেগুলো রক্ষা করতে হবে। সেটি রক্ষা করতে প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নদী ভাঙন এলাকাগুলো আমি নিজে পরিদর্শন করছি।
গাইবান্ধার ফুলছড়ি এরেন্ডাবাড়ি এলাকায় একটি বাধ নির্মাণ করতে হবে। ওইটা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। এলাকায় রক্ষা করতে অবশ্যই একটি প্রতিরক্ষা বাধ দিতে হবে। নদী ভাঙন রোধ শুধু আপনাদের দাবি নয়, এটি আমাদের দাবি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পর থেকেই দেশের আনাচে-কানাচে উন্নয়ন হয়েছে।
রোববার গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার এরেন্ডাবাড়ি ইউনিয়নের জিগাবাড়ি হাইস্কুল মাঠে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে এসব কথা বলেন। এরেন্ডাবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ হাসান রিপন, কুড়িগ্রাম-৪ আসনের মো. বিপ্লব হাসান পলাশ এমপি, বাপাউবোর অতিরিক্ত সচিব ড.আ.ল.ম.বজলুর রশীদ, পুলিশ সুপার কামাল হোসেন, গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাফিজুল হক, ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আবু সাঈদ, গাইবান্ধা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুর জামান রিংকু প্রমুখ। এর আগে হেলিকপ্টর যোগে এরেন্ডাবাড়ি ইউনিয়নের জিগাবাড়ির যমুনা নদী বামতীরের ভাঙন পরিদর্শন করেন মন্ত্রী জাহিদ ফারুক। পরে তিনি কুড়িগ্রাম জেলার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।