আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধার ৫টি আসনে ৫২ প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। সেগুলো যাছাই-বাছাইয়ের শেষদিন পর্যন্ত ৩৫ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ও ১৭ জনের অবৈধ ঘোষণা করেছেন রির্টানিং কর্মকর্তা কাজী নাহিদ রসুল।
সোমবার সন্ধ্যায় গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক ও রির্টানিং কর্মকর্তার কার্যালয় সুত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আফরুজা বারী, জাতীয় পার্টির শামীম হায়দার পাটোয়ারী, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের গোলাম আহসান হাবিব মাসুদ, বাংলাদেশ সংস্কৃতিক মুক্তিজোটের খন্দকার রবিউল ইসলাম, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মর্জিনা খান, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের আবু বক্কর সিদ্দিক, বাংলাদেশ ন্যাশলালিস্ট ফ্রন্টের ওমর ফারুক সিজার, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ফখরুল হাসান, জাকের পার্টির মোশাররফ হোসেন, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির আইরিন আক্তার ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়নাল আবেদীন। এ আসনে মোট ১১ জন প্রার্থী বৈধভাবে মনোনীত হয়েছেন।
গাইবান্ধা-২ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহাবুব আরা বেগম গিনি, জাতীয় পার্টির আব্দুর রশীদ সরকার, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের গোলাম মারুফ মনা, জাকের পার্টির জহুরুল ইসলাম ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির জিয়া জামান খান। এ আসনে মোট ৫ জন প্রার্থী বৈধভাবে মনোনীত হয়েছেন।
গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্লাপুর-পলাশবাড়ী) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী উম্মে কুলসুম স্মৃতি, জাতীয় পার্টির মাইনুর রাব্বী চৌধুরী, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মাহমুদুল হক, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির জাহাঙ্গীর আলম, জাকের পার্টির তোছাদ্দেক হোসেন সরকার, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের মনজুরুল হক, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের মোস্তফা মনিরুজ্জামান, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাহারিয়া খান, মফিজুল হক সরকার ও আজিজার রহমান। এ আসনে মোট ১০ জন প্রার্থী বৈধভাবে মনোনীত হয়েছেন।
গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ, জাতীয় পার্টির কাজী মো. মশিউর রহমান, জাকের পার্টির আবুল কালাম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোয়ার হোসেন চৌধুরী। এ আসনে মোট ৪ জন প্রার্থী বৈধভাবে মনোনীত হয়েছেন।
গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহমুদ হাসান, জাতীয় পার্টির আতাউর রহমান, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের জাহাঙ্গীর আলম, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ফারুক মিয়া ও স্বতন্ত্র প্রার্থী শামসুল আজাদ শীতল। এ আসনে মোট ৫ জন প্রার্থী বৈধভাবে মনোনীত হয়েছেন।
গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক ও রির্টানিং কর্মকর্তা কাজী নাহিদ রসুল বলেন, বাছাইয়ে যাদের মনোনয়নপত্র অবৈধ বলে বিবেচিত হয়েছে তাদের তফশীলের নির্ধারিত সময় পর্যন্ত আপিল করার সুযোগ রয়েছে।
গাইবান্ধা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল মোত্তালিব বলেন, জেলার ৫ টি আসনে ৭টি উপজেলার ৮১ টি ইউনিয়ন ও ৪টি পৌরসভায় ৬৪৬ টি ভোট কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এই ৫টি আসনে ২০ লাখ ৫২ হাজার ৬৯৮টি ভোটার রয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১০ লাখ ১১ হাজার ৫৬৮ জন এবং নারী ১০ লাখ ৪১ হাজার ১৯ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছে ১১ জন।