গাইবান্ধায় গৃহবধূ রুজিনা আক্তার বন্যার মৃত্যু রহস্য নিয়ে এলাকায় তোলপাড়। মিলছে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য। জনমনে প্রশ্ন উঠেছে এটি হত্যা না আত্নহত্যা?
নিহতের পরিবার সুত্রে জানা গেছে, গাইবান্ধা সদর উপজেলার গিদারী ইউনিয়নের দক্ষিণ গিদারী চরপাড়া গ্রামের জনৈক আঃ রহিম সংসারের অভাব-অনুটনের তাড়নায় পরিবার-পরিজন নিয়ে নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জ শহরে জীবিকা নির্বাহ করেন। এখানে অবস্থানকালে তার ১৩/১৪ বছর বয়সী মেয়ে রুজিনা আক্তার বন্যার সাথে একই সদর উপজেলার কুটিপাড়া (মিতালী বাজার) গ্রামের আঃ আজিজের ছেলে ঢাকায় চিনা হার্বো লিমিটেডে কর্মরত এজান্নবীর সাথে বিয়ে দেন। বিয়ের মাত্র ৫ মাসের মধ্যে রুজিনা আক্তার বন্যা গত বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) স্বামীর কর্মস্থলের বাসায় আত্নহত্যা করেন। এ ঘটনায় খবর পেয়ে নিকটস্থ থানা পুলিশ রুজিনা আক্তার বন্যার লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেন। সেই সাথে থানায় একটি ইউডি মামলা দায়েরের পর লাশের ময়না তদন্ত শেষে স্বজনরা ময়না তদন্তের একটি প্রত্যায়ন পত্র সংগ্রহ পূর্বক শনিবার (২৫ নভেম্বর) গ্রামের বাড়ি দক্ষিণ গিদারী চরপাড়ায় লাশ দাফন করেন। এরপর থেকে রুজিনা আক্তার বন্যার মৃত্যু রহস্য নিয়ে এলাকায় শরু হয় তোলপাড়।
এমন খবরের ভিত্তিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে একাধিক ব্যক্তি জানান, লাশের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল। এমতাবস্থায় থানায় হত্যা মামলা না করে কি ভাবে স্বজনরা লাশ দাফন করলেন বিষয়টি রহস্যজনক। এজান্নবী একজন নারী লিপ্সু ব্যক্তি। রুজিনা আক্তার ছিল তার ৪ নম্বর স্ত্রী।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোস্তফা কামাল জানান, রুজিনা আক্তার বন্যার কি ভাবে মৃত্যু হয়েছে জানিনা। তবে ময়না তদন্তের প্রত্যায়ন পত্র থাকায় লাশ দাফন করা হয়েছে।
গিদারী ইউপি চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ জানান, এ ব্যাপারে আমি তেমন কিছু জানিনা। তবে ময়না তদন্তের প্রত্যায়ন পত্র থাকায় লাশ দাফনের অনুমতি দিয়েছি।