দেশের অস্বস্তিশীল পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে গাইবান্ধায় এক অসহায় পরিবারের বাড়িঘরে হামলা। ঘটানো হয়েছে ভাঙ্চুরসহ লুটপাটের ঘটনা। প্রাণ ভিক্ষা চেয়েও মেলেনি নিষ্কৃতি। এ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবী করেন, অসহায় ভুক্তভোগী আনিছুর রহমান। আনিছুর রহমান গাইবান্ধা সদর উপজেলার দক্ষিণ ধানঘড়া গ্রামের ফুলমিয়ার পুত্র।
বৃহস্পতিবার দুপুর আনুমানিক ১২টায় নিজ বাড়িতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আনিছুর রহমান দাবী করেন, তিনি গ্রামীণ ব্যাংকে চাকুরী করেন। বাড়ি থেকে কর্মস্থল দূরে হওয়ায় ধানঘড়া গ্রামে সাড়ে ৪ শতক জমি কিনে বাড়িঘর নির্মাণ পূর্বক দীর্ঘ দিন ধরে বসবাস করে আসছেন। এর এক পর্যায়ে একই গ্রামের সংঘবদ্ধ প্রতিপক্ষ মৃত আমির উদ্দিনের পুত্র মিলন মিয়াগং ওই জমির মিথ্যা দাবী করে জবর দখলের চেষ্টা নিলে ভুক্তভোগী আনিছুর রহমান বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা (নং ৩০১/২০২১) দায়ের করেন। মামলাটি বিচারাধীন অবস্থায় গত ০২-১২-২০২২ইং তারিখ সকাল আনুমানিক সোয়া ৯টায় বাড়ির সামনে এসে প্রতিপক্ষ মিলন মিয়াগং বসতবাড়ির জমি ছেড়ে দেয়ার আল্টিমেটাম দিয়ে গালিগালাজসহ বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি প্রদর্শন করেন। এ ঘটনায় আনিছুর রহমান এ দিন গাইবান্ধা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি ( নং ৮০/ ২০২২) দায়ের করেন।
আনিছুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে আরও দাবী করেন, বর্তমানে দেশের অস্বস্তিশীল পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠে ওই প্রতিপক্ষ মিলন মিয়াগং। তারা সংঘবদ্ধ হয়ে বুধবার (৭ আগষ্ট) সন্ধ্যে আনুমানিক সাড়ে ৭ টার দিকে অতর্কিতভাবে বাড়িঘরে প্রবেশ করে নৃশংস হামলা চালিয়ে বাড়িঘর, আসবাবপত্র, প্রয়োজনীয় মুল্যবান জিনিষপত্র ভাঙ্চুরসহ লুটপাটের ঘটনাঘটিয়ে প্রায় ৭ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধন করেন। তাদের এ নৃশংস হামলার মুখে ঘরে অবরুদ্ধ হয়ে স্ত্রী, সন্তান নিয়ে বাঁচার আকুতি জানিয়ে প্রাণ ভিক্ষা চেয়েও নিষ্কৃতি না মেলায় বাধ্য হয়ে সেনাবাহিনী ক্যাম্পে ফোন করেন। পরে সেনাবাহিনীর একটি টিম এসে উদ্ধার করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী আনিছুর রহমান ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তসহ ওই সংঘবদ্ধ ভূমিদস্যু প্রতিপক্ষগণকে দ্রুত গ্রেফতার পূর্বক আইনের আওতায় আনার জোর দাবী জানান। এ সময় তার স্ত্রীসহ ২ সন্তান উপস্থিত ছিলেন।