গাইবান্ধায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অভিনব উপায়ে তৈরি মাস্টারকার্ডের মধ্যে ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস সংযুক্ত করে জালিয়াতির সময় পাঁচ মূলহোতাসহ ৩৭ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
ডিভাইস সাপ্লাইয়ের মুলহোতারা হলেন, মারুফ,মুন্না, সোহেল,নজরুল ও সোহাগ।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-১৩ এর অধিনায়ক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে জেলার বিভিন্ন পরীক্ষাকেন্দ্র ও এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করেন র্যাব-১৩ এর গাইবান্ধা ক্যাম্পের সদস্যরা। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২২টি ইলেকট্রনিক ডিভাইস সংযুক্ত মাস্টারকার্ড, ১৯টি ব্লুটুথ ডিভাইস ও ১৬টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
ব্রিফিংয়ে র্যাব কমান্ডার জানান, শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে জেলার বিভিন্ন কেন্দ্রে প্রাইমারি সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা চলছিল। এ সময় একটি চক্র ইলেকট্রনিক ডিভাইস এবং মোবাইলের মাধ্যমে অসদুপায় অবলম্বন করছিলেন। এ ঘটনার গোপন সংবাদের মাধ্যমে বিভিন্ন কেন্দ্রে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এতে তাদের গ্রেফতারসহ ওইসব উপকরণ জব্দ করা হয়েছে। এই চক্রের মূলহোতা মারুফ, মুন্না, সোহাগ, নজরুল ও সোহেল বিভিন্ন পরীক্ষার্থীকে ১৪ থেকে ১৮ লাখ টাকায় চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে আসছিলেন। এদের মধ্যে নজরুল পরীক্ষার্থী সংগ্রহ করতেন এবং সোহেল ডিভাইস সংগ্রহ সরবরাহ করতেন। আর মারুফ ও মুন্না বাহির থেকে প্রশ্নপত্র সমাধান করে পরীক্ষার্থীদের কাছে সরবরাহ করেন।
অধিনায়ক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতাররা জালিয়াতি চক্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যান্যদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।