কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) এর রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের পিচরেট কর্মচারী ঐক্য পরিষদ চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে গত ১৫ জানুয়ারি হতে গাইবান্ধায় অনির্দিষ্টকালের জন্য দপ্তর ভিত্তিক কর্ম বিরতি পালন করে আসছে। এমতাবস্থায় মিটার পাঠকরা মিটার রিডিং গ্রহণ না করায় জানুয়ারি/২৪ মাসের বিদ্যুৎ বিল কি ভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে এনিয়ে উদ্বেগ-উৎকন্ঠায় পড়েছেন গ্রাহকরা।
অভিযোগে জানা গেছে, নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) এর রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের বিভিন্ন বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের বিদ্যুৎ সরবরাহ দপ্তরে অস্থায়ী পিচরেট ভিত্তিতে মিটার পাঠক ও বিল বিতরণকারীরা দীর্ঘ ১৫/২০ বছর ধরে কাজ করে পরিবার-পরিজন নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। তারা যোগ্যতার ভিত্তিতে বিভিন্ন শূন্য পদের বিপরীতে চাকুরী স্থায়ী করণের জন্য বিভিন্ন সময়ে দাবী-দাওয়া পেশ করে আসলেও আজবধি চাকুরী স্থায়ী করণ না করে সম্প্রতি কিছু কিছু দপ্তরে স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার স্থাপন করা হচ্ছে। এমতাবস্থায় এসব দপ্তরের পিচরেট কর্মচারীগণ কর্মহীন হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করতে বাধ্য হবেন। তাই অনতি বিলম্বে চাকুরী স্থায়ী করণের দাবীতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের পিচরেট কর্মচারী ঐক্য পরিষদ চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে গত ১৫ জানুয়ারি/২৪ হতে গাইবান্ধায় অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্ম বিরতি পালন করে আসছেন।
অপর দিকে, পিচরেট কর্মচারী ঐক্য পরিষদের এ কর্ম বিরতির মধ্যে যেহেতু মিটার পাঠকরা মিটার রিডিং গ্রহণ করেননি সেহেতু জানুয়ারি/২৪ মাসের বিল কিভাবে প্রস্তুত করা হচ্ছে এনিয়ে উদ্বেগ-উৎকন্ঠায় পড়েছেন গ্রাহকরা। জানা যায়, এ কোম্পানির আওতায় গাইবান্ধা জেলায় প্রায় ১ লাখ ২৫ হাজার আবাসিক ও বাণিজ্যিক গ্রাহক রয়েছেন। এদের মধ্যে অনেকেই বলছেন, মিটার রিডিং ছাড়া বিদ্যুৎ বিল প্রস্তুত করা হলে তারা মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। ১৪/১৫ সালের দিকে এরকম ভাবে সেচ বিল নিয়েও মতবিরোধ সৃষ্টি হয়ে ছিল। এ নিয়ে এখনও অনেকেই মামলায় হয়রানির শিকার হয়ে আসছেন। তাদের প্রশ্ন এবারেও কি একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে?
যোগাযোগ করা হলে গাইবান্ধা নেসকো লিঃ, বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ ফজলুর রহমানসহ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আসিফ এ বিষয়ে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।