বিবাহিত এক যুবকের প্রেমে পড়েছিলেন এক তরুণী। ওই প্রেমিকও স্ত্রী-সন্তানদের ছেড়ে তাকে বিয়ে করতে এক পায়ে রাজি। বাড়িতে জানাজানি হতেই শুরু হয় অশান্তি। দিনে দিনে এই সম্পর্ক ঘিরে অশান্তি বাড়লে শেষ পর্যন্ত এই যুগল সিদ্ধান্ত নেন— একসঙ্গেই জীবন শেষ করে দেবেন।
ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের রাজস্থানে। রাজ্যের বালোতারা জেলার খেদ রেলওয়ে স্টেশনে চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিলে রাজু ভাট নামের ওই ব্যক্তির (৩৪) মৃত্যু হয়।
ভারতীয় গণমাধ্যম জানায়, রাজু নামের ওই ব্যক্তির স্ত্রী ছাড়াও আট ও পাঁচ বছর বয়সি দুই সন্তান রয়েছে। কিন্তু প্রায় এক বছর আগে একই গ্রামের রাভিনা (২০) নামে এক তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন রাজু। তবে নানা কারণে তারা বিয়ে করতে পারেননি। বৃহস্পতিবার এ নিয়ে রাজু ও রাভিনার মধ্যে তুমুল তর্কবিতর্ক হয়, পরে তারা আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন। এর পর চলন্ত ট্রেনের সামনে রাজু ঝাঁপ দিলেও সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে পিছিয়ে যান রাভিনা।
নিহত যুবকের ভাই বীরমারাম দাবি করেন, এর আগেও ওই তরুণীর পরিবার রাজুকে খুনের হুমকি দিয়েছিল। পরিকল্পনা করেই তাকে খুন করা হয়েছে। মরদেহটি রেললাইনে রেখে, তা আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করেছে।
বৃহস্পতিবার রাতে রাজস্থানের বালোত্রা জেলার পাঁচপাদ্রা থানা এলাকায় এ ঘটনার পর রাজুর পরিবার মরদেহ নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তবে মেয়েটিকে গ্রেফতারের দাবি তুলেছে তারা।