গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মাদরাসা ছাত্র সাব্বির মিয়া (১১) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। বলাৎকারের প্রতিবাদ করায় তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে আপন চাচা ইমরান আকন্দ (৩০)।
বুধবার দুপুরে গোবিন্দগঞ্জ থানা চত্বরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) ইবনে মিজান এই তথ্য জানান।
এর আগে মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) রাতে অভিযুক্ত ইমরান আকন্দকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে সে পুলিশের কাছে হত্যার দায় শিকার করেছে।
অভিযুক্ত ইমরান সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম দুর্গাপুর গ্রামের আলেক আকন্দ গটুর ছেলে। আর হত্যাকাণ্ডের শিকার সাব্বির মিয়া একই গ্র্রামের আনিছুর রহমান খুরুর ছেলে ও রাঘবপুর এতিম খানা ও হাফেজিয়া মাদরাসার ছাত্র। ইমরান আকন্দ সাব্বিরের আপন ছোট চাচা।
জিজ্ঞাসাবাদে ইমরান জানায় সাব্বিরকে সে দীর্ঘ ৩ বৎসর ধরে শারীরিকভাবে নির্যাতন (বলাৎকার) করে আসছিল। এ ঘটনা অন্যদের বলে দেওয়ার ভয়ভীতি দেখালে গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৭টার দিকে কৌশলে সাব্বিরকে ডেকে নিয়ে বসতবাড়ির পশ্চিম পাশে কলার ক্ষেতে নিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে ইমরান। পরদিন ১৮ ডিসেম্বর হরিরামপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর আলাই নদীর পাড়ে লুকানো গলায় গেঞ্জি দিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় সাব্বিরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর মামলা দায়ের হলে তদন্ত শেষে পুলিশ ইমরানকে গ্রেফতার করে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (সি-সার্র্কেল) উদয় কুমার সাহা, থানার ওসি শামসুল আলম শাহ, পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল মোত্তালেব সরকার, উপ-পুলিশ পরিদর্শক রায়হানুজ্জামান, মানিক রানা উপস্থিত ছিলেন।