গাইবান্ধার পাঁচটি সংসদীয় আসনের বেসরকারি ফলাফলে ২৫ জন প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। ঘোষিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। আসনভিত্তিক জামানত হারানো প্রার্থীরা হলেন-
গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসন :এই আসনে জামানত হারিয়েছেন আটজন প্রার্থী। এ আসনে সর্বমোট প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা এক লাখ ১৬ হাজার ৯২। ইসির বিধিমালা অনুযায়ী জামানত রক্ষার জন্য প্রার্থীদের প্রয়োজন ছিল ১৪ হাজার ৫১২ ভোট। কিন্তু ১০ জন প্রার্থীর আটজনই সেই ভোট পাননি। তারা হলেন- জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) প্রার্থী গোলাম আহসান হাবীব মাসুদ। তিনি মশাল প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ৪৩১ ভোট, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির আইরিন আক্তার হাতঘড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ১৯২ ভোট, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের খন্দকার রবিউল ইসলাম ছড়ি প্রতীকে ১২০, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মর্জিনা খান আম প্রতীকে ২৭০, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের মো. আবু বক্কর সিদ্দিক গামছা প্রতীকে ৭৬৪, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. ফকরুল হাসান ডাব প্রতীকে ৮২৪, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ’র ওমর ফারুক সিজার টেলিভিশন প্রতীকে ৬৬ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকে জয়নাল আবেদীন ৩২৩ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।
গাইবান্ধা-২ (সদর) আসন :এই আসনে জামানত হারিয়েছেন তিনজন প্রার্থী। এ আসনে সর্বমোট প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা এক লাখ ২৮ হাজার ৫৪। ইসির বিধিমালা অনুযায়ী জামানত রক্ষার জন্য প্রার্থীদের প্রয়োজন ছিল ১৬ হাজার ৭ ভোটের। কিন্তু পাঁচজন প্রার্থীর মধ্যে তিনজনই সেই ভোট পাননি। তারা হলেন- ন্যাশনাল পিপলস্ পাটির্র (এনপিপি) প্রার্থী জিয়া জামান খান। আম প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ১৯৪ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোছা. মাসুমা আখতার ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ১৬৯ ভোট এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদের) প্রার্থী মো. গোলাম মারুফ মনা মশাল প্রতীকে পেয়েছেন ৫১০ ভোট ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।
গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্লাপুর-পলাশবাড়ী) আসন : এই আসনে জামানত হারিয়েছেন আটজন প্রার্থী। এ আসনে সর্বমোট প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা এক লাখ ২৪ হাজার ২৪২। ইসির বিধিমালা অনুযায়ী জামানত রক্ষার জন্য প্রার্থীদের প্রয়োজন ছিল ১৫ হাজার ৫৩১ ভোটের। কিন্তু ১১ জন প্রার্থীর মধ্যে আটজনই সেই ভোট পাননি। তারা হলেন- স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু জাফর মো. জাহিদ। তিনি কেটলি প্রতীকে ৫৪৯ ভোট, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) এস এম খাদেমুল ইসলাম খুদি মশাল প্রতীকে সাত হাজার ১৬৭ ভোট, জাতীয় পার্টির মইনুর রাব্বী চৌধুরী লাঙ্গল প্রতীকে সাত হাজার ৪৬৫ ভোট, ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টির (এনপিপি) মো. জাহাঙ্গীর আলম আম প্রতীকে ১৫০ ভোট, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) মো. মনজুরুল হক নোঙ্গর প্রতীকে ২২৫ ভোট, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মো. মাহমুদুল হক হাতঘড়ি প্রতীকে দুই হাজার ১৮৩ ভোট, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের মো. মোস্তফা মনিরুজ্জামান গামছা প্রতীকে ১৮৭ ভোট এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সাহারিয়া খাঁন ট্রাক প্রতীকে চার হাজার ১৯২ ভোট ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।
গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসন :এই আসনে জামানত হারিয়েছেন দুইজন প্রার্থী। এ আসনে সর্বমোট প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা দুই লাখ ৩৮ হাজার ১১০। ইসির বিধিমালা অনুযায়ী জামানত রক্ষার জন্য প্রার্থীদের প্রয়োজন ছিল ২৯ হাজার ৭৬৪ ভোট। কিন্তু ৩ জন প্রার্থীর মধ্যে দু’জনই সেই ভোট পাননি। তারা হলেন- জাতীয় পার্টির প্রার্থী কাজী মো. মশিউর রহমান। তিনি লাঙ্গল প্রতীকে চার হাজার ৩০৮ ভোট পেয়েছেন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মনোয়ার হোসেন চৌধুরী ট্রাক প্রতীকে ২৭ হাজার ৪৫০ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।
গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসন :এই আসনে জামানত হারিয়েছেন চারজন প্রার্থী। এ আসনে সর্বমোট প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা এক লাখ ৭৪ হাজার ৫৫৯। ইসির বিধিমালা অনুযায়ী জামানত রক্ষার জন্য প্রার্থীদের প্রয়োজন ছিল ২১ হাজার ৮২০ ভোট। কিন্তু ছয়জন প্রার্থীর মধ্যে চারজনই সেই ভোট পাননি। তারা হলেন- জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. আতাউর রহমান। লাঙ্গল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৭০৯ ভোট, বিকল্পধারা বাংলাদেশের মো. জাহাঙ্গীর আলম কুলা প্রতীকে ১০৪ ভোট, ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টির (এনপিপি) মো. ফারুক মিয়া আম প্রতীকে ১৪৬ ভোট এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শামসুল আজাদ শীতল ঈগল প্রতীকে ১১০ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।