আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধার ৫টি আসনে ৩৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে ২ নারীসহ ৬ জন প্রার্থী নির্বাচনি এলাকায় ভোটার তালিকাভূক্ত না হওয়ায় তাদের নিজ নিজ প্রতীকে ভোট দিতে পারবেন না। শনিবার দুপুরে গাইবান্ধা জেলা নির্বাচন অফিস থেকে এ তথ্য জানানো হয়। ওই ৬ প্রার্থী নির্বাচনি এলাকায় মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও তালিকা অনুযায়ী অন্য এলাকার ভোটার তারা।
জানা যায়, গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগার। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তার প্রতীক ঢেঁকি। তিনি ঢাকার কাফরুল উপজেলার স্থায়ী বাসিন্দা। একইভাবে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি থেকে আম প্রতীকে লড়ছেন মর্জিনা খান। তিনি মোহম্মদী হাউজিং লিমিটেড এলাকার ভোটার। এছাড়া বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট থেকে ছড়ি প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন খন্দকার রবিউল ইসলাম। তিনি গাইবান্ধা সদর উপজেলার বাসিন্দা।
এদিকে গাইবান্ধা-২ (সদর) আসনে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি থেকে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন জিয়া জামান খান । তার প্রতীক আম। তিনি ঢাকার মোহম্মদী হাউজিং লিমিটেড এলাকার ভোটার।
গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্লাপুর-পলাশবাড়ী) আসনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে মনোয়নপত্র জমা দিয়েছেন মফিজুল হক সরকার। তিনি ঈগল প্রতীকে লড়ছেন। তার মনোনয়নপত্রে ঠিকানা রয়েছে ঢাকার ধানমন্ডি রায়ের বাজার এলাকা।
গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসনে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি থেকে ফারুক মিয়া আম প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। তিনি গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ভোটার বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে গাইবান্ধা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল মোত্তালিব বলেন, ওইসব প্রার্থীরা নিজ প্রতীকে ভোট দিতে না পারলেও তার ভোটার এলাকায় গিয়ে অন্য প্রতীকে ভোট প্রদান করতে পারবেন।