নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী হয়ে থাকল ভারতের পার্লামেন্ট। লোকসভা ও রাজ্যসভা মিলিয়ে পার্লামেন্ট থেকে একদিনে বিরোধী দলগুলোর ৭৮ সাংসদকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর আগে গত সপ্তাহে ১৪ জন সাংসদকে বহিষ্কার করা হয়। সবমিলিয়ে বহিষ্কৃত এমপির সংখ্যা দাঁড়ালো ৯২ জনে। খবর এনডিটিভির
সোমবার অধিবেশন চালাকালে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বক্তব্য দেওয়ার সময় হট্টোগোল করার অভিযোগে কংগ্রেস, তৃণমূলসহ বিরোধী দলের ৭৮ সাংসদ সদস্যকে বহিষ্কার করেন স্পিকার ওম বিড়লা। বহিষ্কৃতরা কেউ শীতকালীন অধিবেশন চলাকালে পার্লামেন্টে প্রবেশ করতে পারবেন না। তাদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল আর লোকসভার বিরোধী দল কংগ্রেসসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সংসদ সদস্যরা আছেন। এ ঘটনায় বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে। ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। গত ১৩ ডিসেম্বর ভারতের লোকসভায় অধিবেশন চলাকালে হঠাৎ দুই ব্যক্তি ক্যানিস্টার বোমার বিস্ফোরণ ঘটান। নতুন নির্মিত পার্লামেন্টে সংসদ সদস্যদের নিরাপত্তা নিয়ে শুরু হয় তীব্র সমালোচনা। সোমবার লোকসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বক্তব্য রাখছিলেন। সে সময় তীব্র প্রতিবাদ ও হট্টোগোল করেন বিরোধী দলগুলের সদস্যরা। যা পার্লামেন্টের শিষ্টাচার বর্হিভূত ঘটনা বলে আখ্যা দেন স্পিকার। পরে তিনি তালিকা ধরে উল্লেখিত সংসদ সদস্যদের বহিষ্কার করেন।পার্লামেন্টে এ গণবহিষ্কারের ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইন্ডিয়া জোটের অন্যতম শরিক তৃণমূল সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিবাদে সরব হয়েছেন লোকসভায় বিরোধী দল নেতা অধীর চৌধুরীও।
গত শুক্রবার পার্লামেন্টে নিরাপত্তা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করে লোকসভায় প্রতিবাদ জানান বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্য। ওই দিন একসঙ্গে ১৪ জনকে বহিষ্কার করেন স্পিকার। চলতি শীতকালীন অধিবেশনে সব মিলিয়ে বহিষ্কৃত হলেন ৯২ জন। যা দেশটির ইতিহাসে বিরল ঘটনা।