সাদুল্লাপুর উপজেলার নলডাঙ্গা উমেশ চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের ২টি ভবনের ঝুঁকিপূর্ণ সাতটি টি শ্রেণিকক্ষে চলছে পাঠদান। পাশাপাশি প্রধান শিক্ষকের কার্যালয় ও শিক্ষকদের অফিস রুম ঝুঁকিপূর্ণের ফলে স্কুল চলাকালে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। ফলে ঝুঁকিপূর্ণ শ্রেণিকক্ষে পাঠদান, দুর্ঘটনার আতঙ্কে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, বিদ্যালয়টি ১৯৪৬ ইং সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে অনেক প্রতিকূলতার মাঝে ১৯৮০ সালে জাতীয়করণের ঘোষণা হয়। বর্তমানে ঐতিহ্যবাহী এ স্কুলেটিতে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৮৫০। জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র এটি। বিদ্যালয়টি ১৯৪৭ইং সালে স্থানীয় জমিদার পরিবার ও জনসাধারণের সহায়তায় ১৯০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ফুট প্রস্থ একটি এল(L) প্যাটানের দুই তলা ভবন নির্মাণ করেন। গত কয়েক বছর হলো আধাপাকা ঝুঁকিপূর্ণ ঘরের শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করাচ্ছেন শিক্ষকরা।
শিক্ষার্থী রাসেল , মুকুল ও মোরশেদা জানান, আমাদের ক্লাসরুমের ভবনটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। আমরা ভয়ে ভয়ে সব সময় ক্লাস করি, মাঝে মাঝে প্লাস্টারে গুঁড়া এসে আমাদের গায়ে মাথায় পড়ে। এটি ভেঙ্গে ফেলে নতুন ভবন নির্মাণ করলে আমাদের লেখাপড়া জন্য খুবই ভালো হবে।
সহকারী শিক্ষক আব্দুল ওহেদ সরকার ও শামিমা বেগম জানান, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান করাতে গিয়ে আমাদেরকে ভয়ে ভয়ে থাকতে হয়। এছাড়া শিক্ষকদের বসার রুমটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় আমরা মাঝে মাঝে অন্য জায়গায় গিয়ে বসি।
প্রধান শিক্ষক শুনীল কুমার গাঙ্গুলী জানান, বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর শ্রেণিকক্ষের সংকট, শিক্ষকগণের বসার জায়গা সংকট, ১৯৯৫ সালে নির্মিত ভবনগুলো পুরাতন জরাজীর্ণ এই ঝুঁকিপূর্ণ। এই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের নিচে আমরা পাঠদান চালাচ্ছি মিডিয়ার সাহায্য নিয়ে কর্তৃপক্ষের নিকট আকুল আবেদন জানাচ্ছি যত দ্রুত সম্ভব এখানে নতুন ভবন তৈরি করে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য।
উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা আব্দুল হোসেন জানান, বিদ্যালয়টির ভবনগুলো খুব ঝুঁকিপূর্ণ। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছেন। এতে শিক্ষার্থীরা সবসময় আতঙ্কিত থাকেন। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরকে আমি বিষয়টি সমাধানের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কাওছার হাবীব জানান, বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে দুটি ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণার জন্য একটি আবেদন আমরা পেয়েছি। আবেদনটি সরেজমিনে তদন্ত করার জন্য উপজেলা প্রকৌশলীর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। তাদের প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর বিষয়টির ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাছাড়া ইতোমধ্যে বিদ্যালয়টি সাবেক জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় সংসদ সদস্য মহোদয় পরিদর্শন করেছেন।