গাইবান্ধায় হাসপাতাল-ক্লিনিকে নিয়োজিত অনিবন্ধিত ভুয়া নার্সদের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি শিক্ষার্থীরা। এ দাবি জানিয়ে ব্যবস্থা নিতে জেলা সিভিল সার্জনের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে তারা।
সচেতন নার্স ও মিডওয়াইফ সমাজ’র ব্যানারে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জেলা শহরের পৌরপার্কে জড়ো হতে থাকে শিক্ষার্থীরা। জেলার কয়েকটি নার্সিং প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এতে অংশ নেয়। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পৌরপার্ক থেকে মিছিল বের করে শিক্ষার্থীরা। মিছিল নিয়ে তারা জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করে।
এসময় তারা ‘দফা একা দাবি এক, ভুয়া নার্সের পদত্যাগ, জেগেছে রে জেগেছে, নার্সিং সমাজ জেগেছে, আমার সোনার বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’-সহ বিভিন্ন দাবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড হাতে স্লোগান দেন। সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, বর্তমান রাষ্ট্র সংস্কারের অংশ হিসেবে আমরা নার্সিং সমাজ নার্সিং সেবা খাতের সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি। বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিল আইন ২০১৬ অনুযায়ী পেশাগত নিবন্ধন ব্যতীত কোনো ব্যক্তি নিজেকে নার্স হিসেবে দাবি করতে পারবে না; যদি করে তবে তা শাস্তিমূলক অপরাধ। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করছি এই আইন থাকলেও তার কোনো প্রয়োগ হয়নি। অথচ বেসরকারি হাসপাতাল কিংবা ক্লিনিকগুলোতে ভুয়া নিবন্ধনহীন ব্যক্তিরা অনায়াসে নার্স হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন।
বক্তারা ভুয়া নার্সমুক্ত স্বাস্থ্যখাত নিশ্চিতসহ নার্সিং পেশা ও শিক্ষা ক্ষেত্রে বৈষম্য দূরীকরণে এইচএসসি পাশ যোগ্যতায় ভর্তিকৃত ৩ বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি এবং ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্স দুটির সনদের মান ‘ডিগ্রি (পাস)’ কোর্স সনদের সমমান করার দাবি জানান। সমাবেশে বক্তব্য দেন নার্সিং শিক্ষার্থী শওকত আলী সায়েম, মোহাম্মদ হাসান, সুজন মিয়া ও মেহেদী হাসান প্রমুখ।