গাইবান্ধার বল্লমঝাড় ইউনিয়নের খামার টেংগোরজানী গ্রামে ২৯শে জুলাই সোমবার জমি জবর দখলকে কেন্দ্র করে বাবা ও দুই ছেলেকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে ৭ জনের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তরা বল্লমঝাড় ইউনিয়নের খামার টেংগোরজানী গ্রামের বাসিন্দা । আহত শফিউল মিয়া, তার স্ত্রী, তার বড় ভাই মোঃ শরিফুল মিয়া ও প্রতিবন্ধী বাবা মোঃ নান্নু মিয়াএকই ইউনিয়নের বাসিন্দা। তারা গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হেয়ছে
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,মোঃ আতাউর রহমান (৪২), পিতা-মৃত আব্দুল কুদ্দুস, মোঃ মাশরুক রহমান হিমেল (১৯), পিতা-মোঃ চাঁন মিয়া, মোঃ চাঁন মিয়া (৪৮), পিতা-মৃত আব্দুল কুদ্দুস, মোছাঃ শেলী বেগম (৩৭), স্বামী-মোঃ আতাউর রহমান, মোছাঃ হিরা বেগম (৪২), স্বামী-মোঃ চাঁন মিয়া, মোছাঃ চৈতী খাতুন (২২), পিতা-মোঃ চাঁন মিয়া, মোছাঃ আরফিন বেগম (২০), পিতা-মোঃ আতাউর রহমান, স্বামী-মোঃ শান্ত মিয়া, উক্ত অভিযুক্ত আসামীগন বল্লমঝাড় ইউনিয়নের খামার টেংগোরজানী গ্রামের বাসিন্দা। তাদের সাথে দীর্ঘদিন থেকে জমি-জমা সংক্রান্ত বিষয় শত্রুতাসহ মনোমালিন্য চলছিল। এরই ধারাবাহিকতায় ২৯ ই জুলাই সোমবার সকালে ৯ টায় শফিউল মিয়া তার বড় ভাই মোঃ শরিফুল মিয়া ও শারীরিক প্রতিবন্ধী বাবা মোঃ নান্নু মিয়া সহ বসতবাড়ীর পশ্চিম পার্শ্বে ভিটাজমিতে ধানের চারা রোপন করার লক্ষ্যে হালচাষ দিচ্ছিলো । পূর্ব শত্রুতার জের ধরিয়া বর্নিত আসামীগনসহ অজ্ঞাতনামা আসামীগন হাতেলাঠি, লোহার রড, ছোড়া, বেকী, রামদা, লোহার পাইপসহ বেআইনী জনতায় দলবদ্ধ হইয়া অনধিকারভাবে আমাদের উক্ত জমিতে প্রবেশ করিয়া হালচাষ করিতে নিষেধ করে। কারন জিজ্ঞাসা করায় তাদের উপর সকল আসামীগন আক্রমন করিয়া মারপিট শুরু করে। হাতে থাকা লোহার রড দিয়া হত্যার উদ্দেশ্যে শফিউল মিয়া, তার বড় ভাই ও পিতার উপর স্বজোরে আঘাত করতে থাকে। শফিউল মিয়ার স্ত্রী মোছাঃ পারভিন বেগম এগিয়ে আসিলে আসামীগন তাকেও আক্রমন করে।তার সিজারের রোগী হওয়া সত্বেও তার তলপেটে স্বজোরে লাথি মারে এবং তার গলায় থাকা ০৮ আনা ওজনের
স্বর্নের চেইন মূল্য অনুমান ৪৫,০০০/-টাকা ছিনিয়া নেয়। তা রপড়নের কাপড় টানা হেচড়া করিয়া ছিড়িয়া ফেলাইয়া চরম শ্লীলতাহানি চেষ্টা করে। এসময় ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজনসহ ছুটে এসে আসামীদের কবল থেকে আমাদেরকে উদ্ধার করে অটোবাইক যোগে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হয়।