গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে জমি-জমা নিয়ে বিরোধে মামলা করেও নিষ্কৃতি মিলছেনা ভুক্তভোগী মান্নাফ মিয়ার। আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে জমি জবর-দখলের চেষ্টা। প্রতিপক্ষের পেশী শক্তির কাছে জিম্মি হয়ে জায়গা জমি ছেড়ে স্বপরিবারে গ্রাম ছাড়ার উপক্রম ভুক্তভোগী অসহায় মান্নাফ মিয়ার। প্রতিপক্ষের এমন কর্মকাণ্ডে নির্বাক এলাকার সমাজ সচেতন ব্যক্তিরা।
ঘটনার আদ্যোপান্ত ও মামলা সুত্রে জানা গেছে, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ রাজিবপুর গ্রামের মৃত লালু শেখ ওরফে লাল মিয়ার পুত্র মান্নাফ মিয়া একজন সহজ সরল অসহায় ব্যক্তি। তেমন জমি-জমা না থাকায় দিন মজুরের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। রাজিবপুর মৌজার জেএলনং ৯৯ এর এস এ ১৯৪ নং খতিয়ানভুক্ত ১০০ শতাংশ জমিতে দৌলত উদ্দিন শেখ ও লালু শেখ প্রত্যেকে ৮ আনা অংশে ৫০ শতাংশ জমিতে স্বত্ববান থেকে মারা গেলে মান্নাফ মিয়া ওয়ারীশ সুত্রে ৫০ শতাংশ জমি প্রাপ্ত হয়ে স্বত্ববান থেকে ভোগ দখল করে আসতে থাকেন। বিআরএস জরিপে ১৩ শতাংশ নালিশী জমি একই গ্রামের প্রতিপক্ষ মৃত দৌলত উদ্দিনের পুত্র আফতাব আলী, আবুল কাশেম, চান মিয়া ও মৃত হাসেন আলীর পুত্র হায়দার আলী, ছাবেদ আলীসহ আইয়ুব আলীর মৌরশের নামে ১৩২৯ নং খতিয়ান ভুলবশত প্রস্তুত হয়। এ কারনে মান্নাফ মিয়া বিজ্ঞ আদালতে একটি ল্যান্ডসার্ভে মামলা নং ২২৩০/২০২৩ দায়ের করেন।
এমতাবস্থায় গত ০৮-১০-২৩ ইং তারিখ সকাল আনুমানিক ১০টায় প্রতিপক্ষগণ বেআইনী জনতায় দলবদ্ধ হয়ে তপশীল বর্ণিত জমি জবর দখলের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে স্বেচ্ছায় জমি ছেড়ে না দিলে খুন,জখম করবে মর্মে বিভিন্ন ধরনের হুমকী ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এ নিয়ে ভুক্তভোগী মান্নাফ মিয়া ঘটনার পরের দিন বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৪৪/১৪৫ ধারার বিধানমতে একটি এমআর মামলা নং ৬২৫/২০২৩ দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী মান্নাফ মিয়ার দাবী, বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ইউপি কার্যালয়ে শালিসী বৈঠক হলে প্রতিপক্ষগণ জমির দাবীর স্বপক্ষে কাগজ পত্র দেখাতে ব্যর্থ হন। মামলার প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত উভয় পক্ষকে নালিশী জমিতে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার নিমিত্বে আদেশ জারী করলেও প্রতিপক্ষগণ এ আদেশ উপেক্ষা করে কতিপয় ভুঁইফোঁড় টাউটবাজের মদতে উক্ত নালিশী জমির বেআইনী দাবী করে জমির উপরে নির্মিত ঘর জবর দখলের চেষ্টা করছে।
তিনি আরও দাবী করেন, প্রতিপক্ষগণের এহেন অত্যাচার আর নির্যাতনে জায়গা জমি ছেড়ে মান-সম্মান ও প্রাণ বাঁচাতে স্বপরিবারে নির্বাসিত জীবন যাপনের আতঙ্কে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে। প্রতিপক্ষগণের বেআইনী কর্মকাণ্ডে নির্বাক হয়ে পড়েছে এলাকার গন্যমান্য সমাজ সচেন ব্যক্তিরা। এ ব্যাপারে তিনি গাইবান্ধা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। প্রতিপক্ষগণের দাবী, ৩০ বছর ধরে ওই নালিশী জমি আমাদের ভোগ দখলে।
মান্নাফ মিয়া বেআইনীভাবে জমির দাবীতে অযথা মামলা করে হয়রানী করছেন। সচেতন মহল বলছেন, প্রতিপক্ষগণ প্রকৃতপক্ষে নালিশী জমির মালিক হলে স্থানীয় ইউপি কার্যালয়ের শালিসী বৈঠকে জমির দাবীর স্বপক্ষে কাগজপত্র প্রদর্শন করতে পারতেন। তা না করে অসস্থিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি করা কখনো কাম্য নয়।
প্রশাসন বিষয়টি সঠিকভাবে খতিয়ে দেখলে বেড়িয়ে আসবে ঘটনার আসল নেপথ্য রহস্য। সেই সাথে ঘটবে সৃষ্ট দ্বন্দ্বের সুষ্ঠু সমাধান।