উত্তরাঞ্চলের জনপদ গাইবান্ধায় আবারও বেড়েছে শীতের তীব্রতা। পৌষের শেষে নদ-নদী বেষ্টিত এলাকায় ঘন কুয়াশার পাশাপাশি উত্তরে হিমালয় থেকে আসা ঠান্ডা বাতাসে হাড়কাঁপানো শীত অনুভূত হচ্ছে। সেই সঙ্গে আবারো কমতে শুরু হয়েছে তাপমাত্রা।
গত ৩ দিনের ব্যবধানে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি থেকে ১২ ডিগ্রিতে নেমে এসেছে। বুধবার (১০ জানুয়ারি ) সকাল ৬ টায় এই মৌসুমে গাইবান্ধার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। শীতের দাপটে জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে।
গতকাল সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হচ্ছে কুয়াশাপাত। মাঝরাতে বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশা। পাশাপাশি থেমে থেমে বইছে ঠান্ডা বাতাস। এসময় হাড়কাঁপানো শীত অনুভূত হচ্ছে। কুয়াশার কারণে দিনের বেলাতেও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে যানবাহনগুলো। অনেকে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
পেটের দায়ে অনেক শ্রমজীবী মানুষ কনকনে ঠান্ডার মধ্যেই কাজে বের হচ্ছেন। অনেকে গবাদি পশুকে চটের বস্তা দিয়ে ঢেকে দিচ্ছেন। অটোরিকশা চালকদের সাথে কথা হলে তারা বলেন, গাড়ি নিয়ে না বের হলে সংসার চলবে না। তাই প্রচণ্ড ঠান্ডার মধ্যেই বের হয়েছি। এতগুলো কাপড় গায়ে দিয়েছি তবুও শীত লাগছে।
এদিকে হাড় কাঁপানো শীতে ঘর থেকে বের হতে পারছে না তিস্তা চরবাসী রংপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রতিদিনই গাইবান্ধা জেলার তাপমাত্রা কমে আসছে। শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে আজ চলতি শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।